৯ বছর অফিসে অফিসে ঘুরেও জীবিত হতে পারেনি তিনি সাংবাদিক আব্দুল আওয়াল অবশেষে ৯ বছর পর জীবিত হল।
বুধবার উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. হামিদ ইকবাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সংবাদটি ভাইরাল হওয়ায় দ্রুত নির্বাচন অফিস বর্তমানে ভোটার আইডি নম্বরটি সংশোধন করে জটিলতা অবসান করেন।
আওয়াল মদন পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে। তিনি ঢাকা থেকে প্রকাশিত একটি পত্রিকার প্রতিনিধি ও মদন উপজেলার করোনা বিষয়ক কমিটির সমন্বয়ক।
২০১২ সালে ভোটার তালিকা হালনাগাদে আব্দুল আওয়ালকে মৃত উল্লেখ করা হয়। এ কারণে চাকরির আবেদনের পাশাপাশি সরকারি সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন আব্দুল আওয়াল। এমনকি জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য করোনার টিকা পর্যন্ত দিতে পারেননি তিনি। এ নিয়ে খুবই দুর্বিষহ দিন অতিবাহিত করেছিলেন তিনি।
আওয়ালের ভাই হোসাইন আহমেদ পরাগ বলেন, আমরা আজ খুব খুশি। অবশেষে আমার ভাই আজ মৃত থেকে জীবিত হওয়ার আইডি নম্বরটি পেল।
আব্দুল আওয়াল বলেন, আমি এই মাত্র উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে আমার জাতীয় পরিচয়পত্রের নিবন্ধন কাগজটি সংগ্রহ করেছি। এখন থেকে আর আমি যে মৃত তার আর বহন করতে হবে না। কাগজটি পেয়ে আমি খুবই খুশি। তবে আমাকে যারা ভোটার থেকে কর্তন করেছে তাদের তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার দাবি করছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাচন অফিসার মো. হামিদ ইকবাল বলেন, সাংবাদিক আওয়াল সাহেবের ভোটার আইডি নিয়ে যে জটিলতা ছিল তা আজ সংশোধনের এনআইডি পেল। আওয়াল সাহেবের আইডি কার্ড নিয়ে আর কোনো জটিলতা থাকল না।
বাংলাদেশ সময়: ৭:২৭ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ২১ এপ্রিল ২০২১
https://thesaturdaynews.com | Sikder Rahman
Development by: webnewsdesign.com