ষ্টাফ রিপোর্টারঃ জর্জিয়ায় সার্বজনীন কমিটির উদ্যোগে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপন একটি সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে জর্জিয়ার স্থানীয় বিভিন্ন মিডিয়ায়। সে সংবাদটির প্র্তিবাদ জানিয়ে আমাদের দফতরে একটি প্রেস বিবৃতি দিয়েছেন জর্জিয়া বাংলাদেশ সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন। শনিবারের চিঠির পাঠকদের সৌজন্যে বিবৃতিটি নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
সম্মানিত জর্জিয়ার প্রবাসী বাংলাদেশি কমিউনিটির সদস্যবৃন্দ,
আসসালামু ওলাইকুম/ আদাব/ নমস্কার।
সর্বপ্রথম আমি বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন অব জর্জিয়া নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করছি। জর্জিয়া বাংলাদেশ সমিতির পরেই জর্জিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম সংগঠন হিসেবে বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন অব জর্জিয়ার স্থান। এই সংগঠনটি ইতিপূর্বে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জর্জিয়ার বাংলাদেশি কমিউনিটিকে বিনোদন ও সেবা দিয়ে আসছিল বিধায় আমিও ব্যক্তিগত ভাবে সব সময় তাদের সাথে থাকার চেষ্টা করেছি।
যেহেতু বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন অব জর্জিয়া একটি অনির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে গঠিত একটি সামাজিক সংগঠন, সেহেতু এতে সৃষ্ট জটিলতা নিরসনে আমার কিছুই করার নেই। আমি যতদূর জেনেছি, বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন অব জর্জিয়ার ১২ জন সদস্যের ৯ জনই এই সংগঠন থেকে সরে এসেছেন। এই ৯ জন সদস্য ইচ্ছা করলেই সংখ্যা গরিষ্ঠতার বলে সংগঠনের সভাপতিকে অপসারন করতে পারতেন। কিন্তু তারা তা না করে যে সুস্থ ও পরিচ্ছন্ন মন মানসিকতার নজির স্থাপন করেছেন সেজন্য আমি জনাব মোহন জাব্বার, নেহাল মাহমুদ, সৈয়দ মুরাদ, ইলিয়াস হাসান, উত্তম দেসহ বাকি সবাইকে আন্তরিক সাধুবাদ জানাই সেই সাথে আমি তাদেরকে জর্জিয়ার সকল বাংলাদেশি সংগঠনের মাতৃসংগঠন “জর্জিয়া বাংলাদেশ সমিতি’’ তে যুক্ত হয়ে জর্জিয়ার বাংলাদেশিদের সেবায় তাদের কাজ অব্যাহত রাখার জন্য আহবান জানাচ্ছি।
আপনারা নিশ্চয়ই জানেন, জর্জিয়ায় বিভিন্ন মতের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংগঠন থাকলেও জর্জিয়া বাংলাদেশ সমিতির মাধ্যমে জর্জিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী সকল বাংলাদেশিরা ঐক্যবদ্ধ। আর এই ঐক্য বজায় রাখতে আমি এবং সংগঠনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছি।বেশ কিছুদিন ধরে লক্ষ করছি, গুটিকয়েক স্বার্থান্বেষী মানুষের সমন্বয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল সেই ঐক্যে ফাটল ধরাতে বিভিন্ন ধরনের বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
আপনারা জানেন, জর্জিয়া বাংলাদেশ সমিতি প্রায় প্রতি বছরই অত্যন্ত ভাব গাম্ভীর্যের সাথে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান একুশে ফেব্রুয়ারি পালনের মাধ্যমে সকল ভাষা শহীদদের সম্মান জানিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারো জর্জিয়া বাংলাদেশ সমিতি “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা মহান একুশে ফেব্রুয়ারি – ২০১৬” উদযাপনের জন্য আয়োজন করেছে। প্রতিবারের মতো এবারো এই অনুষ্ঠানকে সফল করে তোলার জন্য কমিউনিটির সদস্যদের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া পাওয়া গেছে । আর সেজন্যই ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি স্বার্থান্বেষী মহল কারো নাম উল্লেখ না করে ভুয়া কমিটির নামে পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। যদিও এতে ঈর্ষান্বিত হবার কি আছে তা আমার বোধগম্য নয় কারন এটা আমার কোন ব্যাক্তিগত অনুষ্ঠান নয়, এটা জর্জিয়ার প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনুষ্ঠান, ভাষা শহীদদের সম্মান প্রদর্শনের জন্য অনুষ্ঠান। আর পরবর্তী সভাপতি নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত সমিতির সব ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব আমারই।
এই বিবৃতির মাধ্যমে আপনাদের কাছে আমার বিনীত অনুরোধ, বাংলাদেশ সমিতির বিরুদ্ধে যাওয়া এই স্বার্থান্বেষী মহলকে আপনারা চিনে রাখবেন। এরা যেন ভবিষ্যতে কখনো জর্জিয়া বাংলাদেশ সমিতির কোন কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করতে না পারে, এরা যেন নিজেদের হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য আমাদের প্রবাসী বাংলাদেশিদের ঐক্যে ফাটল ধরাতে না পারে। সামনেই বাংলাদেশ সমিতির নির্বাচন, আমাদের বাংলাদেশের কমিউনিটির স্বার্থে, ঐক্যের স্বার্থে এদের বর্জন করুন।
পরিশেষে, আসছে ২০ ফেব্রুয়ারি রাতে, একুশের প্রথম প্রহরে বার্কমার হাই স্কুলে “আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা মহান একুশে ফেব্রুয়ারি – ২০১৬” পালনে আপনাদের সকলকে আমন্ত্রন জানিয়ে সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।
সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন। আল্লাহ হাফেজ।
মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন
সভাপতি, জর্জিয়া বাংলাদেশ সমিতি
শনিবারের চিঠি / আটলান্টা/ ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৬
বাংলাদেশ সময়: ১২:২৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
https://thesaturdaynews.com | Sikder Rahman
Development by: webnewsdesign.com