লেবাননে নৃশংসভাবে খুন হয়েছে এক বাংলাদেশি নারীকর্মী। একটি হাত ও একটি পা বিছিন্ন অবস্থায় নিহত নারীকর্মীর খন্ডিত মরদেহ উদ্ধার করে লেবানন পুলিশ।
নিহত নারীকর্মীর নাম মিনু বেগম। পায়েল নামেই এলাকার বাংলাদেশিরা তাকে চিনতেন। বাড়ি ঢাকার আশুলিয়া থানায় বলে জানা যায়।
৩০ নভেম্বর শনিবার স্থানীয় সময় রাত ৮টায় রাজধানী বৈরুতের আশরাফিয়ে এলাকায় হোটেল ডিও সংলগ্ন একটি ছোট রুম থেকে পায়েলের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনাস্থলে মরদেহের বিচ্ছিন্ন হাত ও পা পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে ঘাতক হাত-পা কেটে নিয়ে গেছে।
স্থানীয় বাংলাদেশিরা জানান, জামসেদ মিয়া ওরফে ফারুক নামের এক বাংলাদেশির সঙ্গে পায়েল গত তিন মাস ধরে একসঙ্গে বসবাস করে আসছিলেন। গত তিনদিন ধরে রুমের দরজা বন্ধ থাকায় রুম থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল। পাশে থাকা অন্য বাংলাদেশিদের সন্দেহ হলে তারা বাসার মালিককে খবর দেয়। পরে বাসার মালিক রুমের দরজা খুলে বিছানার নিচে পলিথিনে মোড়ানো মিনু বেগমের মরদেহ দেখতে পায়।
খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ এসে পায়েলের মরদেহ তাদের হেফাজতে নিয়ে যায়। ঘটনাস্থলের আশপাশে খুঁজেও পায়েলের বিছিন্ন পা ও হাতটি পাননি পুলিশ।
অন্যদিকে পায়েলের সঙ্গী ফারুক পলাতক রয়েছেন। তার খোঁজে নানা জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। ফারুকের বাড়ি কুমিল্লা জেলার সুরজনগর গ্রামে।
এদিকে এ ধরনের হত্যাকাণ্ডে পুরো আশারাফিয়ে এলাকায় বাংলাদেশিদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ফারুককে গ্রেপ্তার করতে পারলে এই হত্যার মূল রহস্য বের করা সম্ভব হবে বলে স্থানীয় বাংলাদেশিরা জানিয়েছেন।
বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, পুলিশ ও প্রতিবেশী বাংলাদেশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।
শনিবারের চিঠি / আটলান্টা/ ০৩ ডিসেম্বরর, ২০১৯
বাংলাদেশ সময়: ৬:১৩ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০১৯
https://thesaturdaynews.com | Sikder Rahman
Development by: webnewsdesign.com