রাজশাহীঃ রাজশাহীতে ভারতীয় সহকারী হাই কমিশন ভিসা সেন্টার ভবনের মালিক হাজি আনছার আলির ছেলে শিমুলের হাতে মারপিটে শিকার হয়েছেন বৃদ্ধসহ অন্তত ৫ জন। রাত জেগে লাইনে দাঁড়ানো ব্যক্তিরা ভারতীয় সহকারী হাই কমিশন মরিয়ম টাওয়ারের মালিক আনছার আলির, মদ খোর, নেশাখোর ছেলে শিমুলকে উৎকোচ না দেওয়ায় সে থেকে সরিয়ে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার সকালে ভিসার ফিস জমা দেওয়ার জন্য রাজশাহীতে অবস্থিত স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া কার্যালয়ে প্রবেশ করতে সোমবার বিকেল থেকেই অন্তত শতাধিক লোক লাইন ধরে অপেক্ষা করতে থাকেন। রাজশাহীসহ প্রত্যন্ত এলাকার নিরিহ মানুষ যখন রাত জেগে লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন। এসময় রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই ভবনের মালিক আনছার আলীর ছেলে ভিসার দালাল শিমুল লাইনে দাঁড়ানো লোকজনকে অতর্কিতভাবে বেধড়ক লাঠি দিয়ে পেটাতে থাকে।
শিমুলের মারপিটে দু’জন বৃদ্ধসহ অন্তত ৫ জন আহত হন। মারপিটের আতংকে লোকজন দিগ-বিদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন। এ ঘটনায় স্থানীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে শিমুলকে ধরে উত্তম-মধ্যম দিতে থাকলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং লাইনে দাঁড়ানো লোকজনকে ভবনের সামনে থেকে দূরে সরিয়ে দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, বর্ণালী মোড়স্থ মরিয়ম টাওয়ারের মালিক আনছার আলীর ছেলে শিমুল। অনেক আগে থেকেই সে নেশাখোর, বাটপার বাবার অর্থের দাপটে সে সকলের সাথে খারাপ আচরণ করে থাকে।
লাইনে দাঁড়ানো জনৈক হযরত আলী, সহ অনেকেই অভিযোগ করেন, শিমুলকে ২ থেকে ৫ হাজার টাকা উৎকোচ দিলে সে নিজেই ব্যাংকে প্রবেশের সিরিয়াল আগে নিয়ে দেয়। তাকে উৎকোচ না দেওয়ায় লাইনের আগের সিরিয়াল ভাঙতে শিমুল প্রায় প্রতি রাতেই সাধারণ মানুষদের ওপর লাঠি-সোঠা নিয়ে হামলে করে লাইন ভেঙে দিয়ে সে তার পছন্দমতো সিরিয়াল করে দেয়।
এভাবে শিমুলের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছেন ভিসার জন্য অপেক্ষামান সাধারণ মানুষ। যাদের মধ্যে অধিকাংশই থাকেন অসুস্থজনিত কারণে চিকিৎসার জন্য ভারতগামী ভিসা প্রত্যাশী ।
এ প্রতিনিধি আরো জানতে পারেন, ব্যাংকে প্রতিদিন ১শত জনের সিরিয়াল গ্রহণ করা হয়। কিন্তু ভিসা প্রত্যাশী থাকেন অন্তত ৫শত জন। এ কারণে একদিন আগে থেকেই রাত জেগে সাধারণ মানুষ সিরিয়ালের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন। আর সেই সুযোগে ভিসার আগে সিরিয়াল নিয়ে দিতেই শিমুল প্রতি রাতেই সাধারণ মানুষকে ধরে পেটায়।
অভিযোগ উঠেছে, ব্যাংকের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীকে ম্যানেজ করে শিমুল ভিসার দালালি করে আগে সিরিয়াল নিয়ে থাকেন। তাকে উৎকোচ না দিলে দিনের পর দিন ঘুরেও সিরিয়াল পাওয়া যায় না । আবার উৎকোচ দিলেই সহজেই মেলে ভিসার সিরিয়াল।
শিমুল ব্যাংকের ওই ভবনে কম্পিউটার নিয়ে বসে ভিসার সাক্ষাতের সিরিয়াল বাণিজ্য করে থাকে বলেও অভিযোগ করেছেন অনেকেই।
শনিবারের চিঠি/ আটলান্টা / নভেম্বর ১৬, ২০১৬
বাংলাদেশ সময়: ১০:৪৬ পূর্বাহ্ণ | বুধবার, ১৬ নভেম্বর ২০১৬
https://thesaturdaynews.com | Sikder Rahman
Development by: webnewsdesign.com