যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ইলেকশনে জো বাইডেন বেশ বড় ব্যবধানে বিজয়ী হওয়ার পথে৷ এই মুহূর্তে এরিজোনা ও নেভাডার পরে জর্জিয়া ও পেনসিলভেনিয়াতেও এগিয়ে আছেন বাইডেন। জয়ের জন্য ২৭০ ভোট প্রয়োজন হলেও বাইডেন পেতে যাচ্ছেন ৩০৬’টি ইলেক্টোরাল ভোট
করোনা পরিস্থিতির জন্য এবারের ইলেকশনে বরাবরের চেয়ে অধিকসংখ্যক নাগরিক মেইলে ভোট প্রদান করেন। মেইলিং ভোট এবারের ফলাফলের দৃশ্যপট পাল্টে দেয়। বিশেষ করে ইমিগ্রান্ট অধ্যুষিত অঙ্গরাজ্যগুলির মেইলিং ভোট গননা শুরুর পর থেকে ফলাফলের চিত্র পাল্টে যেতে থাকে। প্রাথমিক ফলাফলে মিশিগান অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প এগিয়ে থাকলেও মেইলিং ভোট কাউন্ট যতই এগোতে থাকে, ততই ট্রাম্প পিছিয়ে পড়তে থাকে। এভাবে চুড়ান্ত ফলাফলে মিশিগান হাতছাড়া হয়ে যায় ট্রাম্পের থেকে। এরপর একের পর এক দৃশ্যপট পাল্টে যেতে থাকে ৫টি অঙ্গরাজ্যে।
জর্জিয়াতে যখন মাত্র ২% মেইলিং ভোট গননার বাকি তখনো ট্রাম্প এগিয়ে ছিলেন। কিন্তু আজ সকালে ১% গননা শেষ না হতেই বাইডেন প্রায় দেড় হাজার ভোটে এগিয়ে গিয়েছেন। অথচ ইলেকশনের দিন জর্জিয়াতে ট্রাম্প লক্ষাধিক ভোটে এগিয়ে ছিলেন। জর্জিয়ার আটলান্টা সিটির মেইলিং ভোট দৃশ্যপট পাল্টে দেয়। জর্জিয়াতে ১৬টি ইলেক্টোরাল ভোট রয়েছে।
আটলান্টা সিটি জর্জিয়ার সর্ববৃহৎ এবং যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ অভিবাসী শহর সিট। আটলান্টাতে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক বাংলা ভাষাভাষী অভিবাসীর বসবাস।
পেনসেলভেনিয়াতেও একই অবস্থা। ইলেকশনের দিন থেকে গতকাল মধ্যরাত পর্যন্ত ট্রাম্প এগিয়ে ছিলেন। যতই মেইলিং ভোট কাউন্ট হতে থাকে, পেছাতে থাকেন ট্রাম্প, এগুতে থাকেন জো। আজ ভোররাতে ট্রাম্পকে পেছনে ফেলে এই মূহুর্তে বাইডেন প্রায় ১০ হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন। অথচ ইলেকশনের দিন প্রায় ৭ লক্ষাধিক ভোটে ট্রাম্প এগিয়ে ছিলেন। এই অঙ্গরাজ্যে এখনো ২% ভোট গননা বাকি।
পেনসিলভানিয়াতে ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট ২০টি।
পেনসিলভেনিয়ার অন্যতম বৃহৎ নগরী ফিলাডেলফিয়া যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম বৃহৎ ইমিগ্রান্ট সিটি যেখানে লক্ষাধিক বাংলাদেশীদের বসবাস।
ফলাফল চুড়ান্ত না হওয়া আরেক অঙ্গরাজ্য নেভাডায় গত তিনদিন ধরেই বাইডেন এগিয়ে আছেন। পাহাড় ও বন বনানী অধ্যুষিত & শীতপ্রধান অঙ্গরাজ্য নেভাডায় মাত্র ৩.১ মিলয়ন জনসংখ্যার বসবাস।
এই স্টেটের ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট ৬টি।
নর্থ ক্যারোলিনাতে ট্রাম্প এগিয়ে।
ফলাফল চুড়ান্ত হয়নি, এমন চারটি অঙ্গরাজ্যের মাঝে এখন একমাত্র নর্থ ক্যারোলিনাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প ৭৭ হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন। ভোট গননার বাকি এখনো ৬%। ভোট গননা যতই এগুচ্ছে, ব্যবধান কমে আসছে দুজনের, এগুচ্ছে বাইডেন। এই অঙ্গরাজ্যে ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট ১৫’টি।
এবারের ইলেকশনে মেইলিং ভোট দৃশ্যপট পাল্টে দিয়ে নির্বাচনের দিনের ফলাফল ও হিসেব নিকেশ উল্টিয়ে দেয়। তাছাড়া এরিজোনা, নিউ মেক্সিকো সহ প্যাসিফিকের তীরের অঙ্গরাজ্যগুলি একচেটিয়া ভাবে ডেমোক্রেটিকদের বাক্সে চলে যাওয়াতেও রিপাবলিকান শিবির পিছিয়ে পরে।
এবারের ইলেকশনে সর্বাধিক মেইলিং ভোটের রেকর্ড ছাড়াও সর্বাধিক কাস্টিং ভোটেও রেকর্ড গড়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পপুলার ভোট প্রাপ্তিতেও রেকর্ড গড়তে যাচ্ছেন জো বাইডেন। সর্বশেষ হিসেব নিকেশে মনে হচ্ছে কমপক্ষে ৩০৬ ভোট পেতে যাচ্ছেন জো বাইডেন। এটা এখন অনেকটাই স্পষ্ট যে, আগামী চার বছরের জন্য জো বাইডেন’ই যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্ব দিতে যাচ্ছেন।
শনিবারের চিঠি/ আটলান্টা/ নভেম্বর ০৭, ২০২০
বাংলাদেশ সময়: ৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ০৭ নভেম্বর ২০২০
https://thesaturdaynews.com | Sikder Rahman
Development by: webnewsdesign.com