ঢাকাঃ রাজধানীর দক্ষিণ বনশ্রীর একটি বাসা থেকে এক কিশোরী গৃহকর্মীকে অর্ধমৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরীর নাম হাওয়া (১৪)। এ ঘটনায় ওই বাড়ির গৃহকর্তা মানবাধিকারকর্মী শরীফ চৌধুরীকে আটক করা হয়েছে।
কাজ না পারাসহ বিভিন্ন অজুহাতে মেয়েটিকে লোহার খুনতি দিয়ে পেটানো ও ছেঁকা দিয়ে নির্যাতন করতেন শরিফ চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী নাইমা।
আজ বুধবার দুপুর ২টার দিকে অভিযোগ পেয়ে ওই বাড়িতে যায় পুলিশ। পরে হাওয়াকে উদ্ধার করা হয়। বিকেলে তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
হাওয়া কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার নগরকুল গ্রামের বাসিন্দা শুনু মিয়ার মেয়ে। চার সন্তানের মধ্যে সে সবার বড়।
দক্ষিণ বনশ্রীর ই ব্লকের রোড ৮/২-এর ৪৩ নম্বর বাড়ির ছয় তলায় শরীফ চৌধুরীর বাসায় গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করত হাওয়া।
হাওয়ার মামাতো বোন শাহানাজ বলেন, ‘চার মাস আগে কাজের জন্য হাওয়াকে শরীফ চৌধুরীর বাসায় পাঠানো হয়। প্রতি মাসে পাঁচ হাজার টাকা বেতন দেওয়ার কথা বলেন শরীফ। কাজে পাঠানোর পর থেকেই হাওয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তারা দেখা করতে দেননি। টানা চার মাস কোনো খোঁজ না পেয়ে আমরা খিলগাঁও থানা পুলিশের শরণাপন্ন হই। পরে পুলিশ গিয়ে ওই বাসা থেকে হাওয়াকে অর্ধমৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।’
খিলগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমরা মেয়েটিকে উদ্ধার করতে শরীফ চৌধুরীর বাসায় যাই। আমাদের দেখে শরীফ তাঁর ক্ষমতা প্রদর্শন করতে থাকেন। নিজেকে তিনি মানবাধিকারকর্মী বলে দাবি করেন। একপর্যায়ে হাওয়াকে আমাদের সামনে হাজির করতে বাধ্য হন তিনি। কাজের ভুল হলেই হাওয়াকে নির্যাতন করা হতো বলে তিনি স্বীকার করেন।’
শনিবারের চিঠি/ আটলান্টা / অক্টোবর ৩১,২০১৮
বাংলাদেশ সময়: ৭:২২ অপরাহ্ণ | বুধবার, ৩১ অক্টোবর ২০১৮
https://thesaturdaynews.com | Sikder Rahman
Development by: webnewsdesign.com