দিন নেই, রাত নেই সারাক্ষণ মাদকের পেছনে ছুটে চলা ওদের। মাদকের অর্থ যোগান দিতে বেছে নিচ্ছে চুরির পথ। দিনে দিনে হয়ে উঠছে ছিঁচকে চোর। কখনো বড় ধরনের অঘটনও ঘটাচ্ছে এরা।
এদের বয়স ১৬ থেকে ২২ এর মধ্যে। মাঝ বয়সিরাও এ অন্ধকার গলির বাসিন্দা। দিনে হোক বা রাতে হোক মাদকই তাদের কছে অনেক বড়। একদিন পেটে মাদকের ধোঁয়া না গেলে পৃথিবীই যেন ওদের কাছে হয়ে উঠে এক অশান্তির নীড়। অন্ধকার কানাগালিতেই চলে ওদের মাদকসেবনের আড্ডা। সেখানেই ঝিঁমানো। তারপর শুয়ে পড়া। মলমূত্র ত্যাগও সেখানে। রাজশাহী নগরীর মাদকপল্লী হিসেবে খ্যাত পূর্ব নগরের গুড়িপাড়ায় এদের প্রধান আখড়া। মূলত: হেরোইন, ইয়াবা ও গাজাসেবী এরা। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের প্রত্যেককে ২ মাস করে কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এরা হলো-নগরীর মতিহারের চর শ্যামপুরের কোবাদের ছেলে ফেলা, মৃত রেজাউলের ছেলে আরিফ, টিকাপাড়া এলাকার খালেকের ছেলে সুমন, কসিম উদ্দিনের ছেলে মাসুম, মামুন হোসেনের ছেলে মিলন, সাধুর মোড এলাকার ইউনুসের ছেলে হাসু শেখ, গুড়িপাড়ার সাইদুর রহমানের ছেলে নবাব, বাজে কাজলা এলাকার আবু বাক্কারের চেলে সাইফুল ইসলাম, মাসকাটাদীঘির নাসির উদ্দিনের ছেলে মনির সরকার ও বগুড়ার কাহালু উপজেলার মাসহাটিয়া গ্রামের মোকাব্বর আলীর ছেলে ইয়াসিন ফকির।
র্যাব জানায়, এরা সবাই মাদকাসক্ত। বিশেষ করে হেরোইন, ফেনসিডিল ও ইয়াবায় আসক্ত। সোমবার বিকেলে র্যাব রাজশাহীর রেলওয়ে কলোনি ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাদের হাতেনাতে আটক করে। এ সময় এরা সবাই মাদকে বুদ হয়ে ঝিঁমুচ্ছিল।
র্যাব সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মূর্তজা আল মুঈদের সমন্বয়ে গঠিত র্যাবের একটি দল নগরীর গুড়িপাড়া এলাকায় মাদক সেবনের স্পটে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় একইস্থান থেকে তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ২৬ ধারা মোতাবেক ২ মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন।
সমাজকে মাদকমুক্ত করতে হলে সচেতনতা ও আইনের সঠিক প্রয়োগ প্রয়োজন বলে মনে করে সচেতন মহল।
শনিবারের চিঠি/ আটলান্টা / মে ৩১,২০১৬