বরিশাল: বরিশাল সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজ ছাত্রাবাসের সিট দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এতে দুই ছাত্রলীগকর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের উদ্ধার করে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার রাত ৯টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসের হিন্দু হোস্টেলের ২০ নম্বর কক্ষে এ সংঘর্ষ হয়।
আহতরা হলেন- ছাত্রলীগ নেতা অনিক সেরনিয়াবাতের অনুসারী ক্যাম্পাসের হিন্দু হোস্টেলে বসবাসরত মাস্টার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র সুমন হালদার এবং অনার্স শেষ বর্ষের মনি শঙ্কর।
প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক শিক্ষার্থী জানায়, হিন্দু হোস্টেলের ২০ নম্বর কক্ষের একটি সিট বেশ কয়েক দিন আগে খালি হয়। ওই সিটটি ছাত্রলীগ নেতা অনিক সেরনিয়াবাত অনুসারী সুমন হালদার দখলে নিয়ে মনি শংকর নামে এক ছাত্রকে উঠায়। এ ঘটনায় একই হোস্টেলের ওই কক্ষে বসবাসরত বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি আতিকুল্যাহ মুনিমের অনুসারী সাধন ও স্বপন ক্ষুব্ধ হয়ে গালাগাল করেন। এনিয়ে বাকবিতাণ্ডার একপর্যায়ে উভয় গ্রুপের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
পরে ওই ঘটনার জের ধরে সাধন ও স্বপনসহ ১০/১২ ছাত্রলীগকর্মী লাঠিছোটা নিয়ে অতর্কিতভাবে তাদের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় সুমন ও মনি শঙ্করসহ তাদের সহযোগীরা পাল্টা অবস্থান নিলে উভয় গ্রুপের মধ্যে বাপক সংঘর্ষ হয়। এ সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সুমন এবং মনি শঙ্কর গুরুতর আহত হন। পরে হোস্টেলে বসবাসরত সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কিন্তু ঘটনার সাথে জড়িত সকলে পলাতক থাকায় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি।
এ বিষয়ে মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুর রহমান মুকুল বাংলামেইলকে বলেন, ‘ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত রয়েছে। এছাড়া সবকিছু স্বাভাবিক রাখতে হোস্টেলের সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
এদিকে, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে অভিযুক্ত ছাত্রদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেনে কলেজ অধ্যক্ষ ফজলুল হক।
শনিবারের চিঠি / আটলান্টা / ১৯ মে ২০১৫
বাংলাদেশ সময়: ৬:২১ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১৯ মে ২০১৫
https://thesaturdaynews.com | Sikder Rahman
Development by: webnewsdesign.com