ঢাকাঃ সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বন্ধে প্রয়োজনে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছেন ভারতের আসাম রাজ্যের এক সাংসদ।
আসামের শিলচর থেকে প্রকাশিক দৈনিক ‘সাময়িক প্রসঙ্গ’ পত্রিকার গতকাল শনিবার ২৩ জুলাই সংখ্যায় এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
আব্দুল খালেক নামে বিধানসভার ওই কংগ্রেস সদস্য বলেছেন, বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধসহ সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন বন্ধ না হলে প্রয়োজনে সে দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করুক ভারত সরকার। যে দেশের স্বাধীনতায় ভারতের অবদান সবচেয়ে বেশি। যে দেশ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে অনেকাংশে ভারতের ওপর নির্ভরশীল সে দেশে ক্রমাগত হিন্দুদের ওপর নির্যাতন হবে এটা মানা যায় না।
বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের পঞ্চম দিনে বেসরকারি প্রস্তাবে তিনি এ কথা বলেন। এসময় বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান ধর্মের লোকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করারও আহ্বান জানান তিনি।
আব্দুল খালেক বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একজন শক্তিশালী নেতা। তিনি প্রয়োজনে শক্তি প্রদর্শন করে নিশ্চিত করুন যাতে বাংলাদেশে বসবার করা কোনো হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান জৈন নির্যাতনের মুখে না পড়ে। কারণ বাংলাদেশে বসবারকারী হিন্দুসহ অন্যান্য সংখ্যালঘুরা দেশ বিভাজনের বলি। তাই তাদের প্রতি রাষ্ট্রের দায়বদ্ধতা অস্বীকার করা যায় না। ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র বাংলাদেশে ধর্মের নামে নির্যাতন হলে নির্যাতিতরা ভারতে আসার চেষ্টা করবেন এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রশ্ন হলো, নির্যাতিতদের কতটা ভার আমরা বহন করবো। তাই বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হলে প্রয়োজনে যুদ্ধ হোক।
উল্লেখ্য, আসামে অভিবাসী মুসলিমরা ১৯৭১ সালের পর থেকে সরকারের প্রত্যক্ষ মদদে এবং বোরো আদিবাসীদের দ্বারা ক্রমাগত নির্যাতনের শিকার হলেও সে বিষয়ে কোনো কথা বলেননি আব্দুল খালেক।
শনিবারের চিঠি/ আটলান্টা/ জুলাই ২৪, ২০১৬
বাংলাদেশ সময়: ১১:১৬ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ২৪ জুলাই ২০১৬
https://thesaturdaynews.com | Sikder Rahman
Development by: webnewsdesign.com