ষ্টাফ রিপোর্টারঃ সাবেক কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার (সিআইএ) প্রধান মাইক পম্পেওকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে সিনেট। এ বিষয়ে সিনেটে ৫৭-৪২ ভোটাভুটিতে এই নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়। গতকাল শুক্রবার বিবিসি অনলাইনে এ খবর জানানো হয়েছে।
যদিও মাইক পম্পেও বিরুদ্ধে যুদ্ধবাজ, মুসলিমবিদ্বেষী ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ করে আসছে ডেমোক্র্যাটরা।
গত মাসে রেক্স পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিলারসনকে বরখাস্ত করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ব্যক্তিগত রেষারেষির জেরে টিলারসনকে পদ থেকে হটানো হয় বলে বিভিন্ন প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। যদিও ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘আমরা একসঙ্গে ভালো কাজ করেছি। কিন্তু কিছু বিষয়ে আমাদের দ্বিমত ছিল।’ সে সময় তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মাইক পম্পেওর নাম ঘোষণা করেছিলেন।
ট্রাম্প আরো বলেন, ‘আপনি ইরান চুক্তি লক্ষ করলে দেখবেন, এটা ভয়াবহ। আমার মনে হয়, তিনি (রেক্স) মনে করতেন, এটা ঠিক আছে। আমি হয় এটা ভঙ্গ করতে চাই অথবা কিছু একটা করতে চাই। কিন্তু তিনি কিছুটা ভিন্ন রকম ভাবেন। সুতরাং আমরা একই রকম চিন্তা করতাম না।’
উচ্চ কক্ষের এক রিপাবলিকান সিনেটর জানান, মাইক পম্পেওকে ভোটে নিয়োগের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ছয়জন ডেমোক্র্যাট নিয়োগের পক্ষে ভোট দেন।
নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রশংসা করে এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, ‘মাইককে আমেরিকার স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো সব সময় প্রাধান্য দিতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘দেশপ্রেমী মাইকের তীক্ষ্ণ বুদ্ধিমত্তা ও নেতৃত্ব দেশের এই কঠিন সময়ে আমাদের জন্য প্রয়োজন।’
গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে গোপন বৈঠকের জন্য পিয়ংইয়ং গিয়েছছিলেন মাইক পম্পেও। ট্রাম্প ও কিম জং উনের মধ্যে আলোচনায় বসার আগে এই প্রস্তুতি বৈঠক করা হয়েছে।
শনিবারের চিঠি / আটলান্টা / ২৮ এপ্রিল, ২০১৮
বাংলাদেশ সময়: ৯:৪৮ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৮
https://thesaturdaynews.com | Sikder Rahman
Development by: webnewsdesign.com