নিউ ইয়র্কঃ গত ১৯ শে সেপ্টেম্বর, জাতিসংঘের ৭১তম অধিবেশন চলাকালীন সময়ে নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ বিল্ডিংএর নিকট বাগেরহাটের রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অধিবেশন চলাকালীন সময়ে যখন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অধিবেশনে উপস্থিত, সেই সময়ে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের অতি নিকটে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সমাবেশ করেন প্রতিবেশ আন্দোলন, নিউ ইয়র্ক শাখা, পরিবেশবাদী সংগঠন ফ্রেন্ডস অফ আর্থ, এবং বাংলাদেশি আমেরিকানরা। প্রতিবেশ আন্দোলন ও ফ্রেন্ডস অফ এঅর্থ এর উদ্যোগে এ প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র পৃথিবীর সবচেয়ে বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবন থেকে সরানোর জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর প্রতি দাবি জানানো হয়।
সমাবেশ থেকে মার্কিন জনগণের করের টাকা সুন্দরবন ধ্বংসের আরেক প্রকল্প ওরিয়ন-খুলনা কয়লা ভিত্তিক প্রকল্পে বিনিয়োগ না করার জন্য মার্কিন এক্সিম ব্যাংকার প্রতি আহ্বান জানানো হয়। ওরিয়ন কয়লা প্রকল্প সুন্দরবন থেকে মাত্র ৯ মাইল দুরুত্বে অবস্থিত। বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ প্রকল্প রামপাল এবং ওরিয়ন প্রকল্পসহ সরকার প্রস্তাবিত অন্যান্য প্রকল্প বেঙ্গল টাইগার, ইরাবতি ডলফিনসহ সুন্দরবনের অনান্য প্রাণী, এবং উদ্ভিদ ধ্বংস করবে ও ইকোসিস্টেমর মারাত্মক ক্ষতি করবে। এ ছাড়াও বাংলাদেশ ও ভারতের প্রায় ৬ কোটি মানুষকে মারাত্বক প্রাকৃতিক ঝুঁকির মধ্যেই ফেলবে এই প্রকল্পসমূহ। সভায় প্রতিবেশ আন্দোলন ও গণ সংহতি আন্দোলন উত্তর আমেরিকার নেতা ঈসা আবরার বলেন, সুন্দরবন শধু বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ নয়, ইহা একটা বিশ্ব ঔতিহ্য। বিশ্ব জনমত এখন সুন্দরবন বাঁচানোর পক্ষে সোচ্চার। রামপাল প্রকল্প বন্ধ না হলে তা হবে মারাত্মক পরিবেশ আইন বিপর্যয়। সভায় ফ্রেন্ডস অফ আর্থ এর নেত্রী, ইকোনমিক জাস্টিস ক্যাম্পাইনার জেনি বক বলেন, বাংলাদেশে যে কোনো পরিবেশবিরোধী কয়লা প্রকল্পে মার্কিন বিনিয়োগ হবে প্রেসিডেন্ট ওবামার ঘোষণাকৃত নীতির বিরোধী।
শনিবারের চিঠি/ আটলান্টা / সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১৬
বাংলাদেশ সময়: ৮:৫০ পূর্বাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬
https://thesaturdaynews.com | Sikder Rahman
Development by: webnewsdesign.com