সোমবার রাতে পুলিশ একটি গ্রোসারী ষ্টোর থেকে ফোন পায় যেখান থেকে অভিযোগ জানানো হয় যে, জর্জ ফ্লয়েড একটি ২০ ডলারের ফেক নোট দিয়েছেন।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে পুলিশের গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে। এ সময়ে পুলিশের গাড়িতে তোলা নিয়ে ফ্লয়েড সাথে ধস্তাধস্তির মত ঘটনা ঘটে । কোন সময় তিনি মাটিতে পড়ে যান এবং বলেন যে তিনি ক্লসট্রোফোবিক বা আবদ্ধতায় তার ভয় কাজ করে।
পুলিশের মতে, তিনি কর্মকর্তাদের শারীরিকভাবে বাধা দিয়েছিলেন এবং তাকে হাতকড়া পরানো হয়। তবে ওই ঘটনার ভিডিওতে দেখা যায়নি যে বাধা দেয়াটা কিভাবে শুরু হয়েছিল।
পুলিশ কর্মকর্তা চউভিনের হাত যখন তার গলায় ছিল, . ফ্লয়েড বারবারই বলছিলেন যে, “দয়া করুন, আমি শ্বাস নিতে পারছি না” এবং “আমাকে মারবেন না”।
স্থানীয় চিকিৎসাকর্মী প্রাথমিকভাবে ময়না তদন্তের পর জানিয়েছেন যে, ফ্লয়েডের গলায় ওই পুলিশ কর্মকর্তার হাঁটু আট মিনিট ৪৬ সেকেন্ড ধরে চেপে ছিল, অর্থাৎ. ফ্লয়েড সাড়াহীন হয়ে যাওয়ার পরও আরো তিন মিনিট বেশি সময় ধরে এটা চলে।
মচউভিন তার হাঁটু সরিয়ে নেয়ার দুই মিনিট আগে আরেক কর্মকর্তা ফ্লয়েডের ডান হাতের কব্জিতে স্পন্দন খোঁজার চেষ্টা করেও পাননি। তাকে হাসপাতালে নেয়া হয় এবং ঘণ্টা খানেক পরে সে মারা গেছে বলে জানানো হয়।
প্রাথমিক ময়না তদন্তে পুলিশ কর্মকর্তা চউভিনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগসহ “আঘাতজনিত শ্বাসকষ্ট বা শ্বাসরোধের” কোন প্রমাণ মেলেনি।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফ্লয়েডের হৃদরোগজনিত সমস্যা ছিল এবং এই দুইয়ের সমন্বয়ে তার দেহে প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে এবং পুলিশ কর্মকর্তাদের পদক্ষেপের কারণে “তার মৃত্যু ত্বরাণ্বিত হয়েছে।”
ফ্লয়েডের মৃত্যুর ঘটনায় চউভিনের বিরুদ্ধে থার্ড-ডিগ্রি মার্ডার এবং সেকেন্ড ডিগ্রি বেআইনি ও অনিচ্ছাকৃত হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
শনিবারের চিঠি / আটলান্টা/ মে ৩১, ২০২০
বাংলাদেশ সময়: ৪:৫০ অপরাহ্ণ | রবিবার, ৩১ মে ২০২০
https://thesaturdaynews.com | Sikder Rahman
Development by: webnewsdesign.com