শনিবার রিপোর্টঃ শুক্রবার, ভারতীয় সময় রাত ১১:০৫ বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম জানাল, স্থানীয় সময় রাত পৌনে ৯টা নাগাদ ঢাকার গুলশনে হোলি আর্টিজান বেকারি–তে ঢুকে পড়েছে আট সশস্ত্র দুর্বৃত্ত। সবার বয়স ২০ বছরের কম। তাদের মুখে ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান। তাদের ছোঁড়া গ্রেনেড ফেটে একাধিক পুলিসকর্মী জখম। মারা গেছেন বনানী থানার ও সি সালাউদ্দিন আহমেদ। ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। গুলির লড়াই চলছে।
রাত ১১:০৬ মার্কিন সরকারের মুখপাত্র জন কিরবি সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে জানালেন ঢাকায় সশস্ত্র জঙ্গিদের হাতে বেশ কিছু বিদেশি নাগরিকের পণবন্দী হওয়ার কথা।
রাত ১১:১০ সাময়িক সঙ্ঘর্ষ বিরতি। নিজেদের বক্তব্য জানান, কথা বলুন, জঙ্গিদের বলল বাংলাদেশ পুলিস।
রাত ১১:৪০ হোলি আর্টিজান বেকারির অন্যতম মালিক আলি আরসালান টুইট করে জানালেন, সাদাত, দিয়েগো, জ্যাকোবো এবং তিনি নিরাপদ আছেন, মার্টিনা বিদেশে। কিন্তু রেস্তোরাঁর বেশ কিছু কর্মীর কোনও খবর নেই।
রাত ১১:৪৮ র্যাব অনুরোধ করায় ঘটনাস্থল থেকে সরাসরি সম্প্রচার বন্ধ করে দিল সমস্ত টিভি চ্যানেল।
রাত ১১:৫৪ বিদেশ মন্ত্রক জানাল, ভারতীয় হাই কমিশনের কর্মীরা কেউ ঘটনাস্থলে নেই, সবাই নিরাপদ আছেন।
রাত ১২:৫৪ পুলিসের গোয়েন্দা শাখার সহকারী কমিশনার, গুলিবিদ্ধ রবিউল ইসলাম মারা গেলেন।
রাত ০১:০৫ গোয়েন্দা সূত্র উদ্ধৃত করে বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যমের খবর, হামলায় জড়িত আই এস।
রাত ০১:২০ আই এস–এর নিজস্ব সংবাদ সংস্থা ‘আমাক’ নিশ্চিত করল হামলার পিছনে আই এস। জানাল ২০ জন পণবন্দীকে হত্যার কথা। কোনও তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া দিল না বাংলাদেশ।
রাত ০১:৩০ হাসপাতাল সূত্রে আরও ২৫ পুলিস অফিসার, একজন সাধারণ নাগরিকের জখম হওয়ার খবর। তাঁদের ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রাত ০১:৪৫ দু’জন অফিসারের মারা যাওয়ার খবর নিশ্চিত করল পুলিস।
সকাল ০৫:১১ এক র্যাব সদস্য জানালেন, পণবন্দীদের মধ্যে এক ভারতীয়, একাধিক ইতালীয় আছেন।
সকাল ০৫:২০ হোলি আর্টিজান বেকারিতে অভিযানের প্রস্তুতি নিতে শুরু করল বাংলাদেশের নিরাপত্তা বাহিনী।
সকাল ০৫:৩০ বাংলাদেশ জুড়ে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার নির্দেশ দিল সরকার।
সকাল ০৬:১০ আই এস কিছু মৃতদেহের ছবি পোস্ট করে দাবি করল, এরা সবাই নিহত পণবন্দী। জানাল তাদের সংবাদ সংস্থা ‘আমাক’।
সকাল ০৭:০০ মার্কিন গোয়েন্দারা জানাল, আই এস কৃতিত্ব দাবি করলেও পেছনে থাকতে পারে আল কায়দা।
সকাল ০৭:০২ বাংলাদেশি টিভি চ্যানেল ‘সময়’ জানাল, ৭ থেকে ৮ জন জঙ্গি থাকতে পারে বেকারির ভেতরে।
সকাল ০৭:০৪ সব কটি বিদেশি দূতাবাস বাংলাদেশ সরকারের থেকে পণবন্দী পরিস্থিতির খোঁজ নিল।
সকাল ০৭:১২ অভিযানে অংশ নিতে নৌসেনা কম্যান্ডোরা গুলশন এসে পৌঁছলেন।
সকাল ০৭:২০ শুরু হল ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’।
সকাল ০৭:৩৪ ব্যাপক গোলাগুলি চলছে, জানাল সি এন এন।
সকাল ০৭:৩৮ র্যাব জানাল, হোলি আর্টিজান বেকারির দখল নিয়েছে নিরাপত্তাবাহিনী।
সকাল ০৭:৪০ সব কটি টিভি চ্যানেল কম্যান্ডো অভিযানের লাইভ কভারেজ শুরু করল।
সকাল ০৭:৫০ সি এন এন জানাল, ১০০ সেনা কম্যান্ডো পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে।
সকাল ০৭:৫৩ গোলাগুলির আওয়াজ বন্ধ হল।
সকাল ০৭:৫৬ এক বিদেশি–সহ বেশ কয়েকজনকে উদ্ধারের খবর দিল র্যাব।
সকাল ০৮:০০ অ্যাম্বুলেন্সের আনাগোনা বাড়ল এলাকায়।
সকাল ০৮:১৩ অভিযান সম্ভবত শেষ, জানাল সি এন এন।
সকাল ০৮:২৩ পাঁচ জঙ্গি নিহত, একজন জঙ্গি পায়ে গুলি লেগে ধরা পড়ার খবর।
সকাল ০৮:২৫ পণবন্দীদের অনেকের মারা যাওয়ার খবর।
সকাল ০৯:০৫ লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুহিন মহম্মদ মাসুদ জানালেন, ভারতীয় ও জাপানি–সহ ১৩ জন পণবন্দী উদ্ধার হয়েছেন।
সকাল ০৯:১০ রেস্তোরাঁর মধ্যে দুটি বড় বিস্ফোরণের শব্দ।
সকাল ০৯:২৪ আরও কয়েকটি বিস্ফোরণের পর বম্ব স্কোয়াড পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রেস্তোরাঁর ভেতরে ঢুকল।
সকাল ০৯:৪০ পাঁচ জঙ্গির মৃতদেহ বাইরে আনা হল। উদ্ধার করা হল ১২ জনকে।
সকাল ১০:০০ সরকারিভাবে জানানো হল, অভিযান শেষ ।সুত্রঃ আজকাল
শনিবারের চিঠি?আটলান্টা/ জুলাই ০৩, ২০১৬
বাংলাদেশ সময়: ১০:৪১ পূর্বাহ্ণ | রবিবার, ০৩ জুলাই ২০১৬
https://thesaturdaynews.com | Sikder Rahman
Development by: webnewsdesign.com