শনিবার প্রতিবেদনঃ আজ ২৫ ডিসেম্বর , শুভ বড়দিন, মেরী খ্রীষ্টমাস। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব। আজ থেকে দুই হাজার বারো বছর আগে বর্তমান ফিলিস্তিনের বেথলেহেমের এক গোশালায় কুমারী মাতা মেরির কোল আলো করে এসেছিলেন যিশু খ্রীষ্ট । ইসলাম ধর্মে যিশুই হজরত ঈসা (আঃ) আর মেরি হলেন বিবি মরিয়ম। খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকেরা এই দিনকে বলে মেরী খ্রীষ্টমাস, আর মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকেরা বলে বড় দিন।
তার জন্মতিথি উপলক্ষে গোটা বিশ্বের খ্রিস্টান সম্প্রদায় প্রতিবছর ২৫ ডিসেম্বর উৎসব আমেজের মধ্য দিয়ে উদযাপন করে।
দিনটি উপলক্ষে দেশের গির্জায় গির্জায় চলছে উৎসব। করা হয়েছে আলোকসজ্জা। এছাড়া বিশেষ অনুষ্ঠানের জন্য সাজানো হয়েছে বিভিন্ন অভিজাত হোটেল। রাজধানীর বিভিন্ন গির্জার ভেতরে ও বাইরে তৈরি করা হয়েছে যিশুর জন্মের ইতিহাসকে কেন্দ্র করে ‘গোশালা’।
এ দিনে উপাসনা তথা পবিত্র ক্রিসমাস উৎসর্গ করা হয়। বড়দিন উপলক্ষে অনেক বাড়িতে তৈরি করা হয়েছে বড়দিনের বিশেষ পিঠা। শিশুদের মধ্যে উপহার বিতরণ করবে সান্তাক্লজ। অনেক জায়গায় আয়োজন করা হয়েছে প্রীতিভোজের।
খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের মতে, ঈশ্বরের ইচ্ছায় যিশুর জন্ম হয়েছিল কুমারি মেরির খ্রিস্টান ধর্মমতে, পৃথিবী যখন পাপে পরিপূর্ণ, ঈশ্বর তখন যিশুকে পৃথিবীতে পাঠান মানবজাতিকে পাপের পথ থেকে উদ্ধার করতে, শয়তানের হাত থেকে রক্ষা করতে।
খ্রীষ্টমাস উদযাপনে এক স্পানিস দম্পতি ছবিঃ শনিবারের চিঠি
যিশুর জন্মের পরপরই আকাশের বুকে ফুটে উঠেছিল একটি বিশেষ তারা। পণ্ডিতরা (ম্যাজাই) সেই তারা দেখে বুঝতে পারলেন, পৃথিবীতে সেই মহান রাজার জন্ম হয়েছে, ঈশ্বর যাকে পাঠানোর কথা বলেছিলেন মানবজাতির মুক্তির জন্য। পূর্ব দেশের তিন পণ্ডিত বহু দূর থেকে বেথলেহেমে রওনা হলেন তাদের রাজাধিরাজকে শ্রদ্ধা জানাতে।
যিশু বড় হয়ে পাপের শৃঙ্খলে আবদ্ধ মানুষকে মুক্তির বাণী শোনালেন। তিনি বললেন, ‘ঘৃণা নয়, ভালোবাসো। ভালোবাসো সবাইকে, ভালোবাসো তোমার প্রতিবেশীকে, এমনকি তোমার শত্রুকেও। মানুষকে ক্ষমা করো, তাহলে তুমিও ক্ষমা পাবে। কেউ তোমার এক গালে চড় মারলে তার দিকে অপর গাল পেতে দাও।’
তিনি আরও বললেন, ‘পাপীকে নয়, ঘৃণা করো পাপকে। গরিব-দুঃখীদের সাধ্যমতো সাহায্য করো, ঈশ্বরকে ভয় করো।’
যিশুর কথা শুনে অনেকে তাদের মন ফেরালো। ঈশ্বরের নামে তিনি অসুস্থদের সুস্থ করে তুললেন, মৃত মানুষকে জীবিত করলেন। যিশুখ্রিস্ট হয়ে উঠলেন মানুষের মনের রাজা।
রাষ্ট্রীয়, ধর্মীয় এবং সমাজনেতারা এসব সহ্য করতে পারলো না। যিশুখ্রিস্টকে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বি ভাবতে শুরু করলো। তারা যিশু বা ঈসা(আঃ)কে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করে।
শনিবারের চিঠি / আটলান্টা/ ২৫ ডিসেম্বর , ২০১৮
বাংলাদেশ সময়: ৮:৩৪ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮
https://thesaturdaynews.com | Sikder Rahman
Development by: webnewsdesign.com