শনিবার রিপোর্টঃ আজ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী । প্রেম, দ্রোহ, মানবের মুক্তি এবং বিদ্রোহের সুর ও বাণীতে আজীবন সাম্যের কথা বলে গেছেন মানবতাবাদী কবি নজরুল। তার অসাম্প্রদায়িক চেতনার মর্মবাণী আজও উগ্র সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধের প্রেরণা।
১১ জ্যৈষ্ঠ ১৩০৬ বঙ্গাব্দে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামের এক দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন কাজী নজরুল ইসলাম। মাত্র ৯ বছর বয়সে পিতৃহারা হয়ে স্থানীয় মসজিদে আজান দেয়ার কাজে নিয়োজিত হন দুখু মিয়া বলে পরিচিত নজরুল।
১০ বছর বয়সে লেটো গানের দলে যোগ দিয়ে গান রচনার কাজে নিয়োজিত হন। মাধ্যমিক পরীক্ষা না দিয়েই সৈনিক জীবন শুরু করেন। অংশ নেন প্রথম বিশ্বযুদ্ধে। ১৯২০ সালে নবযুগ পত্রিকায় কাজ করার মধ্য দিয়ে শুরু করেন সাংবাদিকতা। ‘মুহাজিরীন হত্যার জন্য দায়ি কে?’ -প্রবন্ধ প্রকাশের জন্য বাজেয়াপ্ত হয় পত্রিকার জামানত।
দেশজুড়ে অসহযোগ আন্দোলনের বিপুল উদ্দীপনায় হয়ে ওঠেন সক্রিয় রাজনৈতিক কর্মী। সেই থেকে তার কবিতা গান ও প্রবন্ধে স্পষ্ট হয়ে ওঠে বিদ্রোহী ভাব। কবি, সাহিত্যিক, গল্পকার, সাংবাদিক, সম্পাদক, সংগীতজ্ঞ, দার্শনিক, নাট্যকার সাহিত্যের নানা শাখায় বিচরণ করে নিজের স্বাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছেন নজরুল।
ইসলামী সঙ্গীত বা গজল রচনার পাশাপাশি শ্যামাসঙ্গীত ও হিন্দু ভক্তিগীতি রচনায় সিদ্ধহস্ত হয়ে রচনা করেছেন প্রায় ৩ হাজার গান।
সাম্যবাদ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠা করতে আজীবন লড়েছেন বিদ্রোহি কবি নজরুল। মাত্র ৪৩ বছর বয়সে দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হন মানবপ্রেমের এ কবি। বাক্শক্তির সঙ্গে হারিয়ে ফেলেন মানসিক ভারসাম্যও।
১২ ভাদ্র ১৩৮৩ সম্পূর্ণরূপে স্তব্ধ হয়ে যায় কবির কলম। স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দিয়ে স্বপরিবারে নজরুলকে নিয়ে আসা হয় বাংলাদেশে। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের জন্য ১৯৭৪ সালে তাকে সম্মানসূচক ডি.লিট উপাধি দেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
মৃত্যুর কিছুদিন আগে সাম্যের কবিকে একুশে পদকে ভূষিত করে বাংলাদেশ।
শনিবারের চিঠি/ আটলান্টা / আগস্ট ২৭, ২০১৬
বাংলাদেশ সময়: ১১:১৪ পূর্বাহ্ণ | শনিবার, ২৭ আগস্ট ২০১৬
https://thesaturdaynews.com | Sikder Rahman
Development by: webnewsdesign.com