আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ রাফেল যুদ্ধবিমানের শক্তি এবং গতিবেগের মাধ্যমে ভারতীয় বিমানবাহিনী নিজের সীমাতে থেকেও পাকিস্তানের ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা অনেক অংশকেই ধ্বংস করে দিতে সক্ষম হবে। বায়ন্ড ভিজুয়াল রেঞ্জ (বিভিআর) অর্থাৎ দেখা না দেওয়া মিটিয়োর মিসাইল জেটকেও রাফেল টেক্কা দিয়েছে। শুধু এটাই নয় ভারত যে ক’টি যুদ্ধবিমান পাচ্ছে তার ৭৫% সব সময় যুদ্ধের জন্য তৈরি থাকবে।
ফ্রান্সের সঙ্গে এই ভাবেই চুক্তি হয়েছে যে ৩৬টির মধ্যে ২৭টি বিমান সম্পূর্ণ যুদ্ধের ক্ষমতাসম্পন্ন পাওয়া যাবে। ভারত রাফেল জেটের মাধ্যমে পরমাণু হাতিয়ার এবং ব্র্যামহোস মিসাইলের মাধ্যমে লক্ষ্য এবং নিশানা তৈরির জন্য সম্পূর্ণভাবে সক্ষম থাকবে। মিটিয়োর বিভিআর মিসাইলের রেঞ্জ ১০০ কিলোমিটার হওয়ার দরুণ ভারতীয় বিমানসেনার ক্ষমতা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে।
অন্যদিকে পাকিস্তানের কাছে এখন ৮০ কিলোমিটার রেঞ্জের বিভিআর আছে। কারগিল যুদ্ধের সময় পাকিস্তান এই বিমান কিনেছিল। সেই সময় ভারত ৫০ কিলোমিটার রেঞ্জের বিভিআর ব্যবহার করেছিল। আধুনিক প্রযুক্তির জন্য রাফেল একটি মিশনে আকাশ থেকে আকাশ এবং ভূমি থেকে ভূমিতে- দুটি ক্ষেত্রেই একই রকম ভাবে যুদ্ধ করতে পারে। এ ছাড়া এতে স্কালপ মিসাইল এবং ক্রুজ মিসাইল বহনক্ষমতাও আছে।
প্রতিরক্ষা মন্ত্রাণালয়ের সূত্রের খবর, ডসাল্ট ভারতের দরকার অনুযায়ী যে ৩৬টি বিমানের নির্মাণ করবে সেগুলির সমানের দিকে একটি বিশেষ হেলমেট থাকবে। পরমাণু হাতিয়ার নিয়ে শত্রুদের ওপর প্রহার করার জন্য তৈরি সুপারসনিক ব্র্যামহোস এনজিকেও রাফেলের মাধ্যমে ছাড়া সম্ভব হবে। ২১৩০ কিলোমিটার প্রতিঘণ্টার গতিবেগে চলা রাফেলের উড্ডয়ন ক্ষমতা ১৫০০ কিলোমিটার। সারা পৃথিবীর মধ্যে এখনও পর্যন্ত যা লড়াকু বিমান আছে তার মধ্যে রাফেলের শত্রুকে মেরে সুরক্ষিত ভাবে ফিরে আসতে পারার ক্ষমতা বেশি।
রাফেলের উড্ডয়ন ক্ষমতা ইরাক এবং সিরিয়া যুদ্ধতে খুব কাজে লেগেছে। রাফেলের মতো বিমান এবং ১০০ কিলোমিটার বিভিআর মিসাইল এই মুহূর্তে চীনের কাছেও নেই। কিন্তু শুধু রাফেলে এলেই চীনের বিমানবাহিনী ধারে কাছে যেতে পারবে না ভারত কারণ লড়াকু বিমানের সংখ্যাতে চীন ভারতের থেকে অনেকটাই এগিয়ে।
শনিবারের চিঠি/ আটলান্টা / সেপ্টেম্বর ২৫, ২০১৬
বাংলাদেশ সময়: ৫:১৩ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬
https://thesaturdaynews.com | Sikder Rahman
Development by: webnewsdesign.com