শনিবার রিপোর্টঃ বাংলাদেশ থেকে অবৈধ পথে বিদেশ যাওয়ার জন্য এখন থেকে দালালদের পাশাপাশি যারা বিদেশে যাবেন, তাদেরও শাস্তির আওতায় নিয়ে আসার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। (বিবিসি, বাংলা)
গতকাল ঢাকায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় পরিদর্শনে এসে কর্মকর্তাদের তিনি এই নির্দেশনা দেন।
আন্দামান সাগরে ভাসমান নৌকায় কয়েক হাজার বাংলাদেশি আটকে পড়ায় যে পরিস্থিতি তৈরী হয়েছে – তার পটভুমিতেই এমন বক্তব্য এলো।
শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপার বলছেন, প্রচলিত আইনেই অবৈধ মানব পাচারের ক্ষেত্রে দালাল ও পাচারকারী চক্রের শিকার দু’পক্ষকেই শাস্তি দেবার বিধান রয়েছে।
মি. শিপার বিবিসি বাংলাকে বলেন, যিনি প্রলোভন দেখাবেন এবং যিনি এই প্রলোভনে পা দেবেন উভয়েরই শাস্তির বিধান আছে।
তবে প্রধানমন্ত্রীরা নির্দেশনাকে ‘দু:খজনক’ বলে আখ্যায়িত করেছেন অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করে এমন বেসরকারি সংগঠনগুলো।
অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করে এমন একটি বেসরকারি সংগঠন বমসার পরিচালক সুমাইয়া ইসলাম বলছেন, দালালদের বিচারই বেশি জরুরী।
সুমাইয়া ইসলাম বলেন, যে শ্রমিক না বুঝে পাচারকারীচক্রের শিকার হলো তাকেও যদি শাস্তি পেতে হয় – তা হবে দু:খজনক।
তিনি বলেন, পাচারকারী চক্রের সদস্যদের শাস্তি হলেই দেশ বাঁচবে, শ্রমিক বাঁচবে।
অভিবাসীদের নিয়ে কাজ করে এমন সংগঠনগুলো বলছে, প্রচলিত আইনে বিধান থাকলেও এখনো পর্যন্ত কোন দালালের বিচারের নমুনা নেই।
কারণ হিসেবে সুমাইয়া ইসলাম উল্লেখ করেন অধি:কাংশ ক্ষেত্রেই এই পাচারকারীদের কর্মকান্ড বা লেনদেনের কোন লিখিত দলিলপত্র থাকে না।
তার মতে দেশে যথেষ্ট কর্মসংস্থান নেই এবং বর্তমানে বৈধপথে বিদেশ যাওয়ার উপায় প্রায় বন্ধই বলতে হবে। সেই সুযোগ ব্যবহার করছে দালালেরা।
আর উন্নত জীবনের আশায় তাদের ফাঁদে পড়ে অবৈধ পথে পা বাড়াচ্ছেন মানুষজন, বলেন তিনি।
শনিবারের চিঠি / আটলান্টা/ ২৫ মে ২০১৫
বাংলাদেশ সময়: ৯:২৩ পূর্বাহ্ণ | সোমবার, ২৫ মে ২০১৫
https://thesaturdaynews.com | Sikder Rahman
Development by: webnewsdesign.com